করোনা বিরতি কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ১২তম জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। তীব্র বাতাসে ভালো করতে এবারের ভেন্যু করা হয়েছে কক্সবাজারে। ১ থেকে ৪ মার্চ ৪০টি ক্লাবের অংশগ্রহণে হবে এবারের চ্যাম্পিয়নশীপ। যার পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপ।
বাংলাদেশে ভালো করা আর্চাররা, দেশের বাইরে গেলেই পালটে যায় ফলাফল। পারফরম্যান্স খারাপ করেন আর্চাররা বিষয়টি এমন নয়। বাতাসের তারতম্যের জন্যে লক্ষ্যে নিশানাবাজী করতে পারেন না তীরন্দাজরা। সেই আক্ষেপ ঘোচাতে এবার সমুদ্রতীরবর্তী কক্সবাজারে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ আর্চারী ফেডারেশন। ৬০ টি পদকের জন্য যেখানে লড়বেন ১৪৮ জন আর্চার। যেখানে রিকার্ভ ও কমপাউন্ড দুটি ইভেন্টে হবে খেলা।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল বলেন, বাতাসকে কে জয় করতে পারে সেটাই এবার দেখা যাবে।
নতুন মাঠ পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফেডারেশন। মাঠে রোমান সানার সামনে হাতছানি দিচ্ছে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ। তার আগে এই টুর্নামেন্টগুলো দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলার লড়াই। সামনে বাংলাদেশ অংশ নিবে আর্চারির ২টি বিশ্বকাপে। টোকিও অলিম্পিকেও রয়েছে বাতাসের বৈপরীত্য। ২০২৪ অলিম্পিকেও খেলতে চায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ফেডারেশন।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের বড় বড় সফল দল কিন্তু এশিয়া থেকেই। তার মানে বাংলাদেশের জন্য সেই বড় দলগুলোই মূল চ্যালেঞ্জ। তাই আমাদের লাইনআপকে উন্নত করতে হবে।
আর্চারির বর্তমান অবস্থানের জন্য নেপথ্যে কাজ করেছে সিটি গ্রুপ। তীর ‘গো ফর গোল্ড’ মিশনে অর্থ যোগানদাতা তারা। ১২তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানও সিটি গ্রুপ। সামনেও এই ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়াস।
এ প্রসঙ্গে সিটি গ্রুপের জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আর্চারি ফেডারেশনের প্রয়োজনীয়তার সাথে তাল মিলিয়ে তাদের সঙ্গে থাকতে। আমরা ডেভলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে তাদের সঙ্গে আছি।
এদিকে, ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ গেমস। বাতাসের তারতম্যের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে যা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল পটুয়াখালির কুয়াকাটায়। তবে যাতায়াত ও আবাসন সংক্রান্ত সমস্যায় তা পরিবর্তন করে টঙ্গীর আর্চারি স্টেডিয়ামে নেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত